আমরা হয়তো অনেকে খেয়াল করছি, কিছু সংখ্যক মানুষ আছে যারা দিনের বেলায় কাজের ফাকে একটু ঘুমিয়ে নেয়। আমাদের দেশের গ্রামে এ দৃশ্য বেশি দেখা যায় ।গ্রামে যারা বেশি কায়িক শ্রম দেয়, বিশেষ করে কৃষক এবং অন্য শ্রমিক যারা কঠোর কাজ করে তারা কিন্ত দুপুরে দু-মুঠো খেয়ে মাঠে , গাছের ছায়ায় এবং খোলা জায়গায় একটু গুমিয়ে নেয় এবং ঘুম থেকে উঠে আবার আগের মত পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ শুরু করে দেয়।শহরে অনেকে আছে জিগ্রের নামাজ পড়ে যে যার মত একটু ঘুমায় আবার লেবার যারা তারাও কিন্তু কমবেশি ঘুমিয়ে নেয়। আসলে যাদের একটু বেশি কায়িক শ্রম দিতে হয় তারা একটানা কাজ করার পর ক্লান্ত হয়ে য়ায় ।তখন তারা একটু ঘুমালে তাদের ক্লান্ত ভাব চলে যায় এবং তারা আগের মত নতুন উদ্যামে কাজ করতে পারে। দিনের বেলায় একটু ঘুমিয়ে নেয়াকে বলে ভাতঘুম। দুনিয়ার নানা অঞ্চলে ঘুমের এমন চল বহু আগে থেকেই ছিল। আধুনিক সমাজে দিনের বেলায় এই একটু ঘুমিয়ে নেওয়াকে বলা হচ্ছে- পাওয়ার ন্যাপ।সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য বের হয়ে এসেছে যে দিনের বেলায় কাজের ফাঁকে ৪৫ থেকে ৬০ মিনিটের ঘুম স্মরণশক্তি প্রায় পাঁচ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।
জার্মানির সারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আক্সেল মেকলিঙ্গার সাম্প্রতিক এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিউরোসাইকোলজি সাময়িকীতে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মেকলিঙ্গার বলেন,‘মানুষ যেকোনো শিক্ষার পরিবেশে থাকলে ঘুমের ইতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে আমাদের।’
এ গবেষণায় ৪১জন স্টুডেন্ট অংশগ্রহণ করে। প্রথমে অংশগ্রহনকারী দলকে ৯০টি একক শব্দ ও১২০ টি জোড়া শব্দের তালিকা দেওয়া হয় জোড়া শব্দগুলি এমনভাবে সাজানো ছিল যে প্রথম অংশটির সাথে দ্বিতীয় অংশের কোন মিল খুজে পাওয়া যায় না যেমন মিল্ক :ট্যাক্সি এবং এই শব্দগুলি তাদেরকে শিখতে বলা হয়।তার পর একদলকে ৬০মিনিট ঘুমাতে দেওয়া হয়, আরেক দলকে না ঘুমিয়ে তাদেরকে DVD দেখতে হয়য়। এরপর গবেষকেরা অংশগ্রহণকারীদের আবার ঐ শব্দগুলি নিয়ে পরীক্ষা নেন এবং দেখা যায় যারা DVD দেখেছিল তাদের তুলনায় যারা ঘুমিয়ে ছিলেন তারা বেশি সঠিক উত্তর দিয়েছেন। যারা ঘুমিয়ে ছিলেন তাদের মস্তিস্কের কার্যবলী Electroencephalogram (E) মাধ্যমে পর্যবেক্ষন করেছিলেন যখন তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। গবেষকেরা অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস অংশটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। মস্তিষ্কের এই অংশই পাঠ বা অভিজ্ঞতা থেকে শেখা বিষয়গুলো দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত হয় বা এখানে স্মরণশক্তি তৈরি হয়।
গবেষক সারা স্টাডটে বলেন,‘স্লিপ স্পিন্ডল নামে মস্তিষ্কের বিশেষ একটা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছি আমরা। এটা ঘুমের সময় স্মৃতি সমন্বয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।’
জার্মানির এই গবেষকদের পরামর্শ হলো শেখা ও মনে রাখার মতো কাজে লাগাতার সময় দেওয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে নিন, এতে আপনার স্মরণশক্তি বাড়বে, আপনি সময়মতো প্রয়োজনীয় তথ্য মনে করতে পারবেন। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি অফিসেও কাজের ফাঁকে এমন একটু ভাতঘুম ঘুম দারুণ উপকারী হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ঘুমবিজ্ঞানীরা বলছেন, কাজের ফাঁকের সামান্য ঘুমও হৃৎস্পন্দনের হার কমায় শতকরা পাঁচ ভাগের মতো । আর কাজে মনোনিবেশের ক্ষমতা বাড়ায় শতকরা ত্রিশ ভাগ।
জার্মানির সারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আক্সেল মেকলিঙ্গার সাম্প্রতিক এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিউরোসাইকোলজি সাময়িকীতে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মেকলিঙ্গার বলেন,‘মানুষ যেকোনো শিক্ষার পরিবেশে থাকলে ঘুমের ইতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে আমাদের।’
এ গবেষণায় ৪১জন স্টুডেন্ট অংশগ্রহণ করে। প্রথমে অংশগ্রহনকারী দলকে ৯০টি একক শব্দ ও১২০ টি জোড়া শব্দের তালিকা দেওয়া হয় জোড়া শব্দগুলি এমনভাবে সাজানো ছিল যে প্রথম অংশটির সাথে দ্বিতীয় অংশের কোন মিল খুজে পাওয়া যায় না যেমন মিল্ক :ট্যাক্সি এবং এই শব্দগুলি তাদেরকে শিখতে বলা হয়।তার পর একদলকে ৬০মিনিট ঘুমাতে দেওয়া হয়, আরেক দলকে না ঘুমিয়ে তাদেরকে DVD দেখতে হয়য়। এরপর গবেষকেরা অংশগ্রহণকারীদের আবার ঐ শব্দগুলি নিয়ে পরীক্ষা নেন এবং দেখা যায় যারা DVD দেখেছিল তাদের তুলনায় যারা ঘুমিয়ে ছিলেন তারা বেশি সঠিক উত্তর দিয়েছেন। যারা ঘুমিয়ে ছিলেন তাদের মস্তিস্কের কার্যবলী Electroencephalogram (E) মাধ্যমে পর্যবেক্ষন করেছিলেন যখন তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। গবেষকেরা অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস অংশটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। মস্তিষ্কের এই অংশই পাঠ বা অভিজ্ঞতা থেকে শেখা বিষয়গুলো দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত হয় বা এখানে স্মরণশক্তি তৈরি হয়।
গবেষক সারা স্টাডটে বলেন,‘স্লিপ স্পিন্ডল নামে মস্তিষ্কের বিশেষ একটা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছি আমরা। এটা ঘুমের সময় স্মৃতি সমন্বয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।’
জার্মানির এই গবেষকদের পরামর্শ হলো শেখা ও মনে রাখার মতো কাজে লাগাতার সময় দেওয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে নিন, এতে আপনার স্মরণশক্তি বাড়বে, আপনি সময়মতো প্রয়োজনীয় তথ্য মনে করতে পারবেন। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি অফিসেও কাজের ফাঁকে এমন একটু ভাতঘুম ঘুম দারুণ উপকারী হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
No comments:
Post a Comment