Sunday, October 23, 2016

বাংলাদেশে বানিিজ্যক উদ্দেশ্য কুমির চাষ শুরু।

খবরটি শুনে হয়তো অনেকে অবাক হয়েছেন তবে আমি বলব খবরটি ১০০% সত্যি।বাংলাদেশ আর আগের মত নেই।বাংলাদেশ প্রতিটি সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহজেলার ভালুকা উপজেলা উথুরা ইউনিয়নের হাতিবেড গ্রামে সম্পূর্ন বানিজ্যিক উদ্দেশ্য একটি কুমির চাষের খামার তৈরী করা হয়েছে। খামারটির নাম রেপটাইল ফার্ম লিমিটেড।

 ইতিমধ্যে খামারটি  কুমির চাষ করে তা রপ্তানি ও শুরু করিয়াছে।বাংলাদেশ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়  ২০০৪ সনের ৫মে খামারটি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। পরে ঔ বছরই আন্তর্জাতিক সংস্থা সিআইটিইএস এর অনুমোদ পেয়ে  মালয়েশিয়ার সারওয়াত থেকে ১৫টি পুরুষ ও ৬০ টি মাদী কুমির আমদানি করে।এতে ব্যয় হয় এক কোটি ২৫লাখ টাকা।২২ ডিসেম্বার কুমির গুলিকে খামারে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন কুমির গুলির গড় বয়স ছিল ১০থেকে ১৪ বছর এবং লম্বায় ছিল ৭থেকে ১২ ফুট।

কুমির : 400 - 1,000 কেজি, আমেরিকান কুমির : 400 - 500 কেজি, নাইল কুমির : 220 - 550 কেজি  এবং উচ্চতায় নোনা জলের কুমির : 4.3 - 5.2 মি, আমেরিকান কুমির : 4.1 - 4.8 মিটার, নীল নদের কুমির : 4.2 মিটার।আমদানিকৃত কুমিরের জন্যে প্রতি মাসে এদের ৩০০ কেজি মাংস খাবার হিসেসাধারনত  নোনা জলের কুমির গড়  70 বছর, নীল নদের কুমির : 70 - 100 বছব বছর বাচেঁ।ভর, নোনা জলের বে দেয়া হতো। বন্য অবস্থায় ১০/১২ বছর বয়সে এবং ফার্মে ৬/৭ বছর বয়সের একটি স্ত্রী কুমির বছরে একবার (এপ্রিল-মে মাসে) ৪০ থেকে ৫০টি করে ডিম দেয়। ডিম ফুটতে সময় লাগে ৭০ থেকে ৮০ দিন।

বর্তমানে খামারে ৪০টি পুকুর রয়েছে।এখানে কৃত্রিম উপায়ে ডিম ফুটানোর ব্যবস্থা রয়েছে সময়ে ২০০৬ সনের আগস্ট মাসে ওই খামারের প্রথম দুটি মাদী কুমির ডিম দেয়া শুরু করে। ক্রমান্বয়ে কুমিরের বংশ বিস্তারের মাধ্যমে ওই খামারে প্রায় ৮০০ কুমিরে উন্নীত হয় ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ার সারওয়াত কুমির ফার্ম থেকে দেড় কোটি টাকার দিয়ে আরও ৪০ টি ব্রিডার কুমির ক্রয় করে আনা হয়েছে। সব মিলে বর্তমানে এ খামারে ৯০টি মা কুমির রয়েছে। এ ছাড়াও এ খামারের নিজস্ব উৎপাদিত ছোট বড় মিলে ১৫ শতাধিক কুমির রয়েছে যে গুলির দৈর্ঘ্য তিন ফুট থেকে সাড়ে ছয় ফুট পর্যন্ত লম্বা।হয়।

সরকারের কাছ থেকে কুমির রপ্তানির চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে ২০০৯ সনের অক্টোবর মাসে জার্মানের হাইডেল বার্ড ইউনিভার্সিটি কুমিরের শরীরের অংশ বিশেষ থেকে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক মেডিসিন আবিষ্কারের জন্য ওই রেপটাইল ফার্ম লিমিটেড থেকে কুমির রপ্তানির চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। ২০১০ সনে ওই খামারের রপ্তানিযোগ্য ৩০০ কুমির মধ্য থেকে ৬৭টি কুমির জার্মানে রপ্তানি করেন। বাকি ২২৩টি কুমির ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির প্রক্রিয়া চালান। জার্মানিতে ৭০ লাখ টাকায় ৬৭টি কুমির বিক্রির মধ্য দিয়ে লাভের মুখ দেখে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে কুমির রপ্তানির দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নাম লিপিবদ্ধ হয়।

No comments:

Post a Comment